সঞ্জিব দাস , গলাচিপা,পটুয়াখালী, প্রতিনিধিঃ
দুর্যোগ মুহূর্তে দরকার জাতীয় ঐক্য; বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে সমন্বয়। দরকার সুপরামর্শ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকলে যে যার জায়গা থেকে করোনা মোকাবিলায় জীবনবাজি রেখে সম্মুখ সমরে। এদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ, সমাজবিশ্লেষক, চিন্তকদেরও সরব উপস্থিতি প্রয়োজন। কারণ যে সংকট তৈরি হয়েছে বা বিশ্ব যেই পথে যাচ্ছে সেখানে সব খাতের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই সংকট উত্তরণে যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে বিশ্ব। ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশেও। কিন্তু এর মধ্যেও থেমে নেই অপরাধীদের অপরাধ চক্র। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার (৭৩) চাপা ক্ষোভ ও অভিমানে এ কথাগুলো বলছিলেন। মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার হচ্ছেন মৃতঃ সেরেআলী হাওলাদারের ছেলে। মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত চিশতিয়া তরিকার অনুসারী আমি। আজমীর শরীফে আমার গুরু রব চিশতিয়া থাকেন। গুরুকে অনুসরন করে চলছি আমি। কিন্তু এলাকার কিছু লোক আমার ধর্মপরায়নতা দেখে আমাকে পাগল, ভন্ড ইত্যাদি বলে বিরক্ত করে। আমি তাদের জন্য দোয়া করি তারা যেন তাদের ভুল বুঝতে পারে। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে আমি এক ব্যক্তিকে মাদক থেকে বিরত থাকার কথা বললে সে আমাকে ১টি মিথ্যা মামলার অপবাদ দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করিয়েছে। এতে আমার কিছুই হয়নি। ওর পাপের আমলনামা ভারি হয়েছে। আল্লাহ্ আমার সহায়তা থাকায় আমি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পাই। আমার এ খবর শুনে আমারই তরিকার এক ভাই আমার সাথে দেখা করতে এসেছে আমার বাড়িতে, আমি আনন্দিত। এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী রশনেসা বেগম বলেন, আমার স্বামী ধর্মীয় কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন এবং কোন অন্যায় দেখলে তার প্রতিবাদ করেন। এমনই এক লোককে মাদক না খাওয়ার জন্য বললে সে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। এলাকার লোকজন বসে মামলাটি সমাধান করিয়ে দেয়। ইউপি সদস্য মো. রফিক হাওলাদার বলেন, আসলেই মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার একজন তরিকা ব্যক্তি, নামাজ রোজা নিয়েই ব্যস্ত এবং বাসায় জিকির করেন। তিনি ভাল মনের একজন মানুষ। তিনি অসহায় মুসাফির মানুষদের পেলে তার বাসায় আশ্রয় দেন এবং সাধ্যমত আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন।